বেস্ট এসইও স্ট্রাটেজি । এসইও কৌশল | SEO Strategy
একটি ওয়েবসাইটের ওর্গানিক ভিজিবিলিটি বাড়াতে এসইও স্ট্রাটেজি (SEO Strategy) বা এসইও কৌশল অনেক গুরুত্বপৃর্ণ। এসইওতে সফলতার জন্য যেসব কৌশল অনুসরণ করবো তা নিচে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো –
এসইও অডিট রিপোর্ট:
একটি ওয়েবসাইটের প্রাথমিক অবস্থা জানতে এসইও অডিট রিপোর্ট অনেক গুরুত্বর্পর্ণ। এসইও অডিট রিপোর্ট আপনার ওয়েবসাইটে বর্তমান অবস্থা, কি কি সমস্যা আছে এবং কীওয়ার্ড রাংক করানোর জন্য কি কি ডেভোলপ করতে হবে তা জানতে সাহায্য করবে। সর্বোপরি, এসইও অডিট রিপোর্ট আপনার ওয়েবসাইটের কীওয়ার্ড রাংক করানো জন্য প্লান তৈরি করতে সাহায্য করবে।
কীওয়ার্ড রিসার্চ:
আমাদের সব সময় ওয়েবসাইট সম্পর্কিত কীওয়ার্ড বাছাই করতে হবে। কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য ভিবিন্ন এসইও টুল যেমন Google Keyword Planner, Google Trends, SEMrush, Ahrefs ব্যবহার করতে পারি। তবে এছাড়াও ক্রোম এক্সটেনশন যেমন Keyword Everywhre ব্যবহার করতে পারেন।
অন পেজ অপ্টিমাইজেশন: অন পেজ এসইও কে রাজা বলা হয়। কারন একটি পেজ রাংকিং এ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথমে আমাদের ওয়েবসাইট সম্পর্কিত, বর্ণনামূলক কনটেন্ট লিখতে হবে। কনটেন্টকে আকর্ষণীয় করতে ইমেজ, ভিডিও সংযুক্ত করতে হবে। আমাদের কাঙ্খিত কীওয়ার্ড এর জন্য এসইও ফ্রেন্ডলি URL, হেডিং, মেটা টাইটেল, মেটা ডেসক্রিপশন, ও ইন্টারনাল লিংক তৈরি করতে হবে। কন্টেন্টকে নিয়মিত আপডেট এবং নতুন মেটেরিয়াল যুক্ত করতে হবে।
মোবাইল, ও ডেস্কটপ/ ল্যাপটপ অপ্টিমাইজেশন: রেস্পন্সিভ ওয়েবসাইট বা ইউজাড় ফ্রেন্ডলি ডিভাইস গুগল রাংকিং এ অনেক গুরত্বপূর্ণ। সাধারণত ভিবিন্ন ডিভাইস ফ্রেইন্ডলী ওয়েবসাইট গুগল রাংকিং এ প্রধান্য দিয়ে থাকে।
পেজ স্পিড: পেজ স্পিড গুগল রাংকিং এ অনেক গুরত্বপূর্ণ। পেজ লোড হতে বেশি সময় লাগলে রাংকিং এ নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। তাই, ইমেজের ওজন কমিয়ে, কোড মিনিমাইজ করে স্পিড বাড়াতে হবে।
টেকনিকাল এসইও: সার্চ ইঞ্জিনে একটি সাইটম্যাপ তৈরি করে সাবমিট করতে হবে। ৩০১ ও ৪০১ ত্রুটিগুলো নির্বাচন করে সমাধান করতে হবে।
ব্যাকলিংক বিল্ডিং: ব্যাকলিংক বিল্ডিংকে এসইওতে হার্ট বলা হয়। ওয়েবসাইটের রিলেটেড সাইটের সাথে আমাদের ব্যাকলিংক জেনারেট করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকলিংক বিল্ডিং যেমন প্রোফাইল ব্যাকলিংক, গেস্ট পোস্ট ব্যাকলিংক, বিসনেস লিস্টিং ব্যাকলিংক, প্রোডাক্ট ব্যাকলিংক, এবং এনসার সাবমিশন ব্যাকলিংক করতে পারি।
সোশ্যাল মিডিয়া ইন্ট্রিগেশন: বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল যেমন ইউটিউব, ফেইসবুক, টুইটার, লিংকডিন, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট ও অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্রোফাইল পেজ রাংকিং গুরত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। সোস্যাল মিডিয়া ইমপ্রেশন সেড়গ সার্চ ইঞ্জিন রাংকিংকে প্রভাবিত করে।
লোকাল এসইও: লোকাল ক্লায়েন্টকে টার্গেট করতে আপনার কনটেন্টকে লোকাল ঠিকানা এবং Google My Business প্রোফাইল আপডেট রাখুন। এতে করে আপনার লোকাল ভিসিটর বাড়বে এবং লোকাল রাংকিংকে প্রভাবিত করবে।
গুগল এনালিটিক্স এবং মনিটরিং: আপনার ওয়েবসাইটের রাংকিং বিশ্লেষণ এবং মনিটরিং এর জন্য গুগল এনালিটিক্স ও SEMrush টুলস ব্যাবহার করতে হবে। সব সময় আপনাকে অর্গানিক ট্রাফিক, বাউন্স রেট, conversation rate ট্র্যাকিং এ রাখতে হবে।
সর্বোপরি আপনার কনটেন্টকে সব সময় আপডেট এবং সর্বশেষ সার্চ ইঞ্জিন এলগোরিদম সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং কাঙ্খিত ফলাফল পেতে আপনাকে সময় দিতে হবে।